পরী (পর্ব - ৫)
নিজেকে বাঁচাতে হলে যে করেই হোক জিনিয়ার সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক করতেই হবে
কিন্তু কিভাবে জিনিয়াকে বসে আনবো
অহহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম জিনিয়া এখন সাধারণ মানুষ কোনো সমস্যা হবে না,,
এখন শুধু আমাবস্যা রাতের অপেক্ষা,,
পরদিন অফিসে যাচ্ছিলাম জিনিয়াকে না দেখলে কেনো জানি আমার ভালো লাগে না,,তাই জিনিয়াকে ফোন দিলাম
জিনিয়াঃকি ব্যাপার আমাকে মনে হয় সবসময় মিস করো তাহলে আমাকে তোমার ঘরেই বউ করে নিয়ে গেলেই তো হয়
আমিঃসত্যি তুমি আমার ঘরেই বউ হবে
জিনিয়াঃসেটা তো হবে না কারণ তুমি আমার ঘরের স্বামী হবে
আমিঃসেটা কিভাবে?
জিনিয়াঃআরে জানো না আমরা আমাদের পরীলোকে মেয়েদের অধিকার বেশি ছেলেরা আমাদের কথামত চলে
আমি মনে মনে বললাম হুম কিন্তু তুমি দুইদিন পর আমার ঘরের বউই হতে হবে
আমিঃআচ্ছা আমি রাখছে আমার লেট হয়ে যাচ্ছে
জিনিয়াঃআচ্ছা সাবধানে যাবে আর সন্ধ্যায় আমার সাথে দেখা করে যাবে
আমি;আচ্ছা ঠিক আছে দেখা করেই আসবো
কিন্তু আমার তো এখন তোমাকে দেখতে ইচ্ছা করছে
জিনিয়াঃকিন্তু আমি তো যেতে পারবো না,,
আমিঃকেনো কি হয়েছে?
জিনিয়াঃআরে তুমি বুঝবে না,,যাও তুমি অফিসে যাও সন্ধ্যায় দেখা হবে তোমার সাথে
আমি কল কেটে দিলাম
কিন্তু অবাক হলাম অন্য একটা ব্যাপার নিয়ে আমি জিনিয়ার সাথে এতোক্ষন কথা বলছিলাম তাহলে আমার ফোনের এক টাকাও কাটলো না কেনো
যাইহোক এতো কিছু ভাবার সময় এখন নেইই কোম্পানির আমার উপর মায়া হয়েছে তাই টাকা কাটেনি
আমি অফিসে চলে গেলাম
মন দিয়ে কাজ করতে লাগলাম,,এখন আর আগের মতো চিন্তা হয় না কারণ জিনিয়াকে হাতের মুঠোয় আনার উপায় পেয়ে গেছি,,কিন্তু আমার আরো একটা কাজ করতে হবে আগে জিনিয়াকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করতে হবে তারপর ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবো,
এর জন্য আমার নতুন করে প্লান সাজাতে হবে,,
নাহ এখন আর ভাববো না
সন্ধ্যায় অফিস শেষ
করে জিনিয়াদের বাসায় গেলাম,,বুঝি না পরীরা এতো ঘুমায় কেনো,,জিনিয়ার বাবা মা এতো ঘুমায় যা বলার বাহিরে
আমি জিনার রুমে গিয়ে দেখলাম জিনিয়া সেই বইটা পড়তেছিলো
আমিঃএই আসবো?
আমার অস্তিত্ব টের পেয়ে জিনিয়া বইটা তাড়াতাড়ি লুকিয়ে নিয়ে বললো তুমি এসে গেছো আমি তোমার জন্য সেই তখন থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি,,
আমিঃআমিও তোমার কথা ভাবছিলাম জানো আমার না সারাদিন তোমার কাছে থাকতে ইচ্ছা করে
জিনিয়াঃএই তো আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তো
সবসময় আমার একসাথেই থাকবো
আমিঃআচ্ছা জিনিয়া আমার একটা ইচ্ছা?
জিনিয়াঃহুম বলে ফেলো?
আমিঃআগে বলতে সাহস পায়নি তুমি তো পরী ছিলে,,কিন্ত্ এখন তো মানুষ
জিনিয়াঃআরে তোমার ইচ্ছের কথাটা বলো তো?
আমিঃতোমাকে জড়িয়ে ধরতে খুব ইচ্ছা করছে
জিনিয়াঃএই ব্যাপার আচ্ছা আসো কাছে
আমি জিনিয়ার কাছে গেলাম
জিনিয়াঃএইভাবে হবে না দাড়াও
আমি দাঁড়ালাম
জিনিয়াও দাঁড়িয়ে বললো নাও জড়িয়ে ধরো
আমি জিনিয়াকে জড়িয়ে ধরলাম
তারপর জিনিয়াকে না বলেই ওর কপালে একটা ছোট চুমু দিলাম,,এমনটা হবে জিনিয়া হয়তো ভাবতে পারিনি তবে জিনিয়া কিছুই বললো না
খেয়াল করে দেখলাম ওর চোখ মুখ কেমন লাল হয়ে গেছে,,আর কোনো কথা বলছে না শুধু মিটিমিটি হাসছে,,
আমিঃএই কি ব্যাপার তুমি অমনভাবে হাসছ কেনো?
জিনিয়াঃঅই যে তুমি একটু আগে আমাকে চুমু দিলে তাই আমার কেমন জানি লাগছে
আমিঃকেমন লাগছে?জিনিয়াঃসেটা বলতে পারবো না,,তবে আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছে
আমিঃএই আমি আজকে যাই হ্যা
জিনিয়াঃআর একটু থাকো না
আমিঃনাহ কাল অফিসে অনেক কাজ করতে হবে
জিনিয়াঃসারাদিন তো অফিসেই থাকো তাহলে সন্ধ্যায় আমাকে সময় দিতে তোমার সমস্যা কেনো?
আমিঃআরে রাগ করছ কেনো?
আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর থেকে আমি একদমম ফ্রি হয়ে যাবো
তখন তোমার যত সময় চাই ততটাই দিবো আজকে যায় হা
জিনিয়াঃআচ্ছা যাও তবে যাবার আগে তোমার চোখটা
বন্ধ করো তো?
আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম,,জিনিয়া আমার কপালে চুমু দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো..আর আমি চুমু ঠ মেরে দাঁড়িয়ে আছি,,
নাহ দাঁড়িয়ে থাকলে হবে না আমাকে বাসায় যেতে হবে
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে আবার ঘুরতে বের হলাম তবে জিনিয়াকে জানালাম না..
জানালে আমার সাথে ঘুরতে যাবার জন্য বায়না ধরবে
ঘুরে রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরলাম
এসে কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম...
এর মাঝে এক আমাবস্যা চলে গেছে কিন্তু আমার কাজের কাজ কিছুই হয়নি
আসলে জিনিগাকে কিভাবে বিয়ে করা যায় আমি সেটাই ভেবে পাচ্ছি না,,আর জিনিয়া যদি রাজি না হয় তাহলে কি করবো এটাও একটা চিন্তার বিষয়,
কিছুদিন পর
এই শুনছ?
জিনিয়াঃহ্যা বলো
আমিঃচলো না বিয়ে করি..
জিনিয়াঃএই তো আর মাত্র কিছুদিন তারপর
আমিঃনাহ তোমাদের নিয়মে না,,আমাদের নিয়মে বিয়ে করবো
জিনিয়াঃতোমাদের নিয়মে?কিন্ত্ কেনো
আমিঃআসলে আব্বু আম্মুর অনেক শখ তাদের পুত্র বধুকে দেখবে
জিনিয়াঃতোমাকে বিয়ে করলে তো আমাকে তোমাদের বাসায় থাকতে হবে?
আমিঃহ্যা থাকবে
জিনিয়াঃআচ্ছা আমাকে ভাবার জন্য একটু সময় দাও
আমিঃএতো ভাবা ভাবির কি আছে,,আমি যাই বলি তুমি কখনো তা ভালো মনে করো না,,যাও করতে হবে না
জিনিয়াঃওরে বাবারে সোনাবাবুটা দেখি রেগে গেছে,,আচ্ছা আমি তোমাদের নিয়মে তোমাকে বিয়ে করবো এইইবার খুশি তো?
আমিঃহ্যা আমি অনেক খুশি..
জিনিয়াঃতাহলে আমরা কবে বিয়ে করছি
আমিঃকালকেই আমরা বিয়ে করবো(আসলে হাতে সময় অনেক কম তাই)
জিনিয়াঃআচ্ছা ঠিক আছে,
আম্মু তো সব আগে থেকেই জানে,,আব্বুকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমি আম্মুর কাধেই দিয়েছি
আম্মু আব্বুকে রাজিও করে ফেলছে
পরদিন পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়ে হয়ে গেলো..জিনিয়ার আব্বু আম্মুও উপস্থিত ছিলেন
তারপর আমাদের বাসর ঘরে পাঠানো হলো
জিনিয়াঃএই দেখো বিয়ে হয়েছে তাই বলে আমার শরীর কিন্তু তুমি এখুনি ভোগ করতে পারবে না
আমিঃমানে কি বলছ তুমি?কেনো পাড়বো না
জিনিয়াঃসমস্যা আছে তুমি বুঝবে না,,
আমি তো জানি জিনিয়া কেনো আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে না,,,
বাট আমি যে করেই হোক করবো..
আমিঃতাহলে এখন কি করতে হবে?
জিনিয়াঃকি আর করবে চুপচাপ ঘুমিয়ে যাও
আমিঃবাসর রাতে বউয়ের আদর পাবো না
জিনিয়াঃআচ্ছা মাত্র একটা চুমু এর বেশি না কিন্তু?
আমিঃআমার একটা চুমুতে হবে না,
জিনিয়াঃবেশি বাড়াবাড়ি করলে একটাও পাবে না,,
আমিঃনাহ নাহ নাই মামার থেকে কানা মামা অনেক ভালো দাও একটাই চুমু দাও
জিনিয়া আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে
ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো
আমিও ঘুমিয়ে গেলাম..
আরো এক আমাবস্যা চলে গেলো লাস্ট এই একটাই আমাবস্যা আছে,,এখন হয় এই খেলায় জিনিয়া জিতে যাবে নয়তো আমি
কিন্তু জিনিয়ার অমতে ওর সাথে এইসব করা কি ঠিক হবে,নাহ যা করবো তা ঠিকই হবে,, কারণ আমি জিনিয়ার স্বামী আর আমার অধিকার আছে,
সামনে একটাই আমাবস্যারর রাত
দেখতে দেখতে চলে আসছে।
আমি অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় কতগুলো ঘুমের ওষুধ নিয়ে এসেছি
বাসায় এসে আমি ফ্রেশ হয়ে চা বানাতে গেলাম
তারপর জিনিয়ার কাপে ছেড়ে দিলাম
দুজন মিলে চা খেলাম
তারপর সুযোগের সৎ ব্যাবহার করে নিলাম..
পরদিন সকালে জিনিয়া সকাল সকাল উঠেই চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিছে
আমি গেলাম
জিনিয়াঃএই তুমি আমার সাথে এমনটা করতে পাড়লে?
আমি;কেনো আমি আবার কি করেছি?
জিনিয়াঃতুমি আমার অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছ,কেনো করলে আমার সাথে এমন?
আমি;কেনো তুমিই তো শুরু করেছিলে আমাএ সাথে খেলা,,সেই খেলায় আমি জিতে গেছি আর তুমি হেরে গেছ সাথে তোমারর এতোদিনের সব তপস্যা শেষ
জিনিয়াঃতার মানে তুমি সব জানতে?
আমিঃহ্যা জানতাম বলেই তো আপনার জাল থেকে বেচে গেলাম..
জিনিয়াঃকিন্তু একটা সত্যি কথা কি জানো?
আমি তোমাকে কখনোই মারতাম না,,আমার সিংহাসন লাগতো না,,আমার অনেক শক্তির প্রয়োজন ছিলো না,,আমারর শুধু তোমাকে লাগতো..
কিন্তু তুমি আমার সাথে এমনটা করলে
তোমাকে এখন আরর সহ্য করতে পাড়ছি না,,
চলবে..………………
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন